শরীয়তে চাঁদ দেখার গুরুত্ব ও মাসয়ালা

 


ইসলামের মৌলিক দুইটি স্তম্ভ পবিত্র হজ্জ ও রমাদান ছাড়াও অনেক গুরুত্বপূর্ণ ইবাদাত চাঁদ দেখার উপর নির্ভরশীল। বিশেষ করে পবিত্র রমজানের মর্যাদা ও ফজিলত সম্পর্কে আমরা সকলেই অবগত। এ মাসে যত আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা যায় তা অন্য মাসে সম্ভব না। এই পবিত্র মাস কিভাবে শুরু হয়?  এই মর্মে হাদীস শরীফের মধ্যে এরশাদ হয়েছে যে,তোমরা (রমজানের)চাঁদ না দেখে রোজা শুরু করবে না এবং চাঁদ(শাওয়ালের)না দেখে রোজা শেষ করবে না সহীহ মুসলিম -১/৩৪৭ অন্য হাদিসে বর্ণিত হয়েছে তোমরা রমজানের জন্য সাবানের চাঁদের হিসাব রাখো। সুনানে তিরমিজি -৬৮৭ এজন্য চাঁদের হিসাব রাখা আমাদের উপর ফরজে কেফায়া। হিসাব না রাখলে সকলেই গুনাগার হতে হবে। অবশ্য কিছু লোক চাঁদের হিসাব রাখলে এই গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বটি সকলের উপর থেকেই পালন করা হয়ে যাবে। চাঁদ দেখার মাসআলা

 মাসয়ালা:১ যদি ফেসবুক, রেডিও ও টেলিভিশনে প্রচার হয় যে, চাঁদ দেখা গেছে, প্রকৃতপক্ষে একজনও চাঁদ দেখার প্রমাণ দিতে না পারে, তাহলে শরীয়তে এই দেখার কোন ভিত্তি নেই।

মাসয়ালা:২ যদি আকাশ মেঘাচ্ছন্ন থাকে, তাহলে রমজানের চাঁদ প্রমাণিত হওয়ার জন্য একজন পুরুষ বা মহিলার সাক্ষ্য গ্রহণযোগ্য হবে। শর্ত হল তাদের দ্বীনদার ও সত্যবাদী বলে পরিচিত হতে হবে।

মাসয়ালা:৩ যে ব্যক্তি কোরআন ও হাদিসের আলোকে জীবনযাপন করে না। মিথ্যাবাদী চোগলখুরি অনবরত গুনাহের কাজে লিপ্ত থাকে। সে যদি এক হাজার বার কসম কাটে চাঁদ দেখার ব্যাপারে তারপরও তার কথা গ্রহণযোগ্য হবে না।

মাসয়ালা:৪ আকাশ যদি পরিষ্কার থাকে আর চাঁদ দেখা না যায়, তাহলে রমজানের চাঁদ হোক অথবা ঈদের চাঁদ হোক দুই চার জনের সাক্ষীতে চাঁদ দেখা প্রমাণিত হবে না। অবশ্য অনেক লোক সাক্ষী দেয়াতে যদি সুদৃঢ় ধারণা হয় যে, এত লোক কিছুতেই মিথ্যা বলতে পারে না। তাহলে চাঁদ ওঠা প্রমাণিত হবে।

মাসয়ালা:৫ হিন্দুদের কথামতো যেমন: তারা বলে আজ দ্বিতীয়া আজ অবশ্যই চাঁদ উঠবে। এই রূপ ধারণা করা সম্পূর্ণ শরীয়ত বিরোধী।


এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url