বাঙালি জাতির নাম শুনলেই বিশ্ববাসীর মাথায় যে খেয়ালটি সর্বপ্রথম প্রবেশ করে তাহলো এ জাতি অত্যন্ত ভোজনবিলাসী ও ভোজনপটু। তারা ঘুমানোর সময় আসলে আগে খায় এবং ঘুম থেকে উঠেও খাবার খুঁজতে থাকে। খেতে খেতে অসুস্থ হলে তখনো আবার খায়। কারো সাথে সাক্ষাৎ হলে খাবার খেয়েছে কিনা জিজ্ঞাসা করে, প্রেমিক-প্রেমিকারা সাক্ষাৎ করলে বাবু খাইছো বাবু খাইছো বলে প্রেম বিনিময় করে। এজাতি খুশি বা উৎসব উদযাপনেও ভোজনপটু আবার কেউ মারা গেলে শোকের আবহেও পটু্ত্বের প্রমাণ মেলে। এরা খাবার খেতেও মজা পায় আবার খাবারের কল্পনা করেও স্বর্গীয় সুখ পায়। তবে আমার নিকটে উল্লেখিত দুটি বিশেষণের(ভজন বিলাসী ও ভজনপটু) মধ্যে কিঞ্চিত পার্থক্য আছে। যারা খাওয়া দাওয়া বেছে বেছে ও চেঁকে চেকে করে তাদেরকে ভোজনবিলাসী বলে। আর যারা রসনা ও দন্তের ধার দেখিয়ে সামনে যা পায় তাই খায় কোন আইটেম তাদের হাত থেকে রেহাই পায় না তাদেরকে ভোজনপটু বলে। কেউ কেউ আবার তাদেরকে ভোজন রসিকও বলে। তবে আমি তাদেরকে সম্মান করে ভোজন বিশারদ বলি। এর কারণ হচ্ছে তারা যখন খায়, তখন ওই খাবারের দোষ ত্রুটি ধরতে থাকে। যদিও কোনদিন রান্না ঘরের ধারে কাছেও যায় না। কিন্তু খাবারের দোষ ত্রুটি ধরাতে ওস্তাদ। হাদীস শরীফে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম খাবারের দোষটিটি ধরতে নিষেধ করেছেন। এধরনের খাদক ও পেটুকদের আরেকটি বৈশিষ্ট্য হলো খাওয়ার সময় পেটের দিকে লক্ষ্য করেনা বা পেটকে হেফাজত করে না। খেতে খেতে পেট গোপাল ভাঁড়ের মত ফুলে গেলেও ও পেটে জাগা না থাকলেও মন ও চোখ ভরে না। মনে মনে ভাবতে থাকে আরো কিছু যদি খেতে পারতাম! এ মর্মে হাদীস শরীফের মধ্যে রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, পেটকে তিন ভাগ করতে একভাগ খাবার একভাগ পানি ও একভাগ খালি রাখতে।
এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন
এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।
comment url