ইসলামে খেলাধুলার সীমারেখা কতটুকু?

 ইসলামে এমন কোন অবাস্তব হুকুম-আহকাম নেই যা মানতে মুসলমানরা অপারগ বা মুসলমানদের জন্য মানা অসম্ভব। প্রচলিত অশ্লীল ক্রীড়া -কৌতুক যেহেতু শরীয়তের গণ্ডিতে নেই তাই খাঁটি মুসলমানের জন্য এগুলি পরিহার করা কোনো কষ্টসাধ্য বিষয় নয়। ইসলামে সাধারণভাবে সমস্ত খেলাধুলাকে নিষিদ্ধ করেনি। বরং কিছু খেলাধুলা করতে উৎসাহ দিয়েছে। কয়েকটি  মূলনীতি সামনে রেখে আলোচনা করলে খেলাধুলা হালাল না হারাম সেটি পরিষ্কারভাবে বুঝে আসবে   এক ঃ খেলাধুলার মধ্যে হারামের সংমিশ্রণ থাকতে পারবে না অর্থাৎ বাস্তবে খেলাটি হালাল হতে হবে।  দুই ঃ শারীরিক ব্যায়াম হতে হবে। অর্থাৎ অহেতুক বিনোদন বা সময় অপচয় করা যাবে না।   তিন ঃ খেলার কারণে আল্লাহর হুকুমের মধ্যে কোন প্রকার অলসতা বা গাফিলতি করা যাবে না। উপরিউক্ত মূলনীতির দিকে দৃষ্টিপাত করলে দেখা যায় যে, অধিকাংশ খেলাধুলাই হারাম। যেমন ক্রিকেট- ফুটবল, দাবা-কেরাম, জুয়া-পাশা ইত্যাদি। বর্তমান সময়ে পাড়া- মহল্লা থেকে শুরু করে অফিস- আদালত পর্যন্ত স্কুল-কলেজ থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় পর্যন্ত সর্বশ্রেণীতে আলোচনা শুধু একটাই সেটা হলো খেলা। মাঝে মাঝে মনে হয় আল্লাহ পাক আমাদেরকে সৃষ্টি করেছেন খেলা করার জন্যই। এবং বেঁচে থাকার উদ্দেশ্যই হলো খেলা। খেলার উন্মাদনায় এত বেশি যে খেলোয়াড়রা যে স্টাইলে কথা বলে ট্যাটু আঁকায় আমরাও সেভাবেই অনুসরণ করি যাদিও সে খেলোয়াড় বিধর্মী হোক না কেন! অথচ এই ধরনের খেলা সম্পূর্ণভাবে যেমন আমাদের দেশে ক্রিকেটের উন্মাদনা বেশি। বিপিএল, আইপিএল, এবং এ ধরনের বিভিন্ন লীগ বছরের অধিকাংশ সময় জুড়েই চলতে থাকে বাস্তবিক পক্ষে এই লীগ গুলি জুয়া সর্বস্ব। ইহুদি-খ্রিস্টানরা মুসলমানদেরকে এই খেলার মধ্যে মত্ত রেখে তারা পুরা বিশ্বকে হাতের মুঠোয় রাখতে চাই। আর মুসলমানরা কে চার মারলো আর কে ছক্কা মারলো, কার বোলিং ভালো, কার ব্যাটিং খারাপ এই ডিবেটের মধ্যে অনর্থক সময় নষ্ট করছে। রসুলে আকরাম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন তিন ধরনের খেলা ব্যতীত আর কোন খেলা বৈধ নয়। একঃ তীর চালনা করা। দুই ঃ ঘোড়ার প্রশিক্ষণ দেয়া। এবং স্ত্রীর সাথে ক্রীড়া কৌতুক করা।

এই পোস্টটি পরিচিতদের সাথে শেয়ার করুন

পূর্বের পোস্ট দেখুন পরবর্তী পোস্ট দেখুন
এই পোস্টে এখনো কেউ মন্তব্য করে নি
মন্তব্য করতে এখানে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের নীতিমালা মেনে কমেন্ট করুন। প্রতিটি কমেন্ট রিভিউ করা হয়।

comment url